ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে প্রায় এক সপ্তাহ বিক্ষোভে উত্তাল থাকার পর অবশেষে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের তাঁবু ও আন্দোলনের অন্যান্য অনুষঙ্গ বুধবার সন্ধ্যা থেকে প্রত্যাহার করে নেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তিনটি ইসরায়েলি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকবে প্রতিষ্ঠানটি। এসব কোম্পানি ফিলিস্তিনে অবৈধভাবে বসতি স্থাপনে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত বলে জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত।
শুধু তাই নয়, গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ ও শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গেও সংহতি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রিনিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ বুধবার সন্ধ্যায় বিবৃতিতে বলেছে, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের সফল আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ট্রিনিটি কলেজ বলেছে, আগামী মাস থেকেই ইসরায়েলি ওইসব কোম্পানি থেকে তারা সরে আসবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে অন্যান্য ইসরায়েলি কোম্পানিতে বিনিয়োগ থেকেও বিরতি থাকবে। এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেছেন, ভবিষ্যতে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ না করার বিষয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে আট ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর ব্যয়ভার বহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম ইউনিভার্সিটিতে ফিলিস্তিন সমর্থনে বিক্ষোভকারীদের ওপর আবার চড়াও হয়েছে পুলিশ। বুধবার বিক্ষোভে বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
এ সময় ডাচ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ নিয়ন্ত্রণে নিলে পাশের একটি চত্বরে কয়েকশ বিক্ষোভকারী অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন।
অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়কে ইসরায়েলের সঙ্গে একাডেমিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে দাঙ্গা পুলিশ বুলডোজার দিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীদের ব্যারিকেডগুলো ভেঙে ফেলে। ওই সময় দেশটির আরেকটি ক্যাম্পাস থেকে ১৬৯ জনকে আটক করা হয়।